মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে হোটেলের প্লেট ভাঙায় অমানুষিক নির্যাতনে ৭ বছরের শিশু শ্রমিক ইয়াছিন হাসপাতালের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন শিশুটি। ইয়াছিনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলার মধুপুরে।
পিতা মাতা ইয়াছিনকে দাদার কাছে রেখে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। অভাবের সংসার। তাই উপজেলার পাশবর্তী রাজানগর বাজারে সামান্য বেতনে শিশু ইয়াছিন মিন্টুর হোটেলে কাজ নেয়। গত তিন মাস আগে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হোটেল মালিক মিন্টু তাকে প্রায় মারধর করতো।
হাসপাতাল সূত্রে জানায়, গত ২৫ জুন ইয়াছিন রেস্তোয়ারায় কাজ করার সময় হাত থেকে একটি প্লেট পড়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে রেস্তোয়ারা মালিক মিন্টু শিশুটিকে হাতে পায়ে ও পায়ুপথে গরম ছ্যাকা দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় ও দুই দিন দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। স্থানীয় এক মহিলা তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
আহত ইয়াছিনের দাদা আব্দুস সাত্তার বলেন, ইয়াসিনের পিতা মাতা তাকে ফেলে চলে যায় অনেক দিন আগে। আমি ওকে লালন পালন করি। কিন্তু অভাবের সংসার বাজারে সবজি বিক্রি করে কোন মতে সংসার চলে আমার। তাই নাতি ইয়াছিনকে মিন্টুর কাছে দিয়ে ছিলাম কাজে। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
শিশু ইয়াছিন বলেন, তাঁকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতো হোটেল মালিক মিন্টু। ওই দিন হাত থ্যাকা প্লেট পড়ে গেলে লোহার রড গরম করে শরীর, হাতে পায়ে ছ্যাঁকা দেয়।
সিরাজদীখান থানায় (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। শিশুটিকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে।