খুলনায় ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে
হত্যার হুমকি
খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্সকে হত্যার হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসরাফিল জনি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় ডায়রী করেছেন কাউন্সিলর প্রিন্স। পাশাপাশি কেসিসি মেয়রকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বিচার দাবি করেছেন অন্য কাউন্সিলররা। মেয়রকে কাউন্সিলররা বলেন, ইসরাফিল জনিসহ পদ-পদবীহীন সেলফিবাজ কিছু ব্যক্তি দলটিকে শেষ করে দিচ্ছে। তারা দলের নাম ভাঙিয়ে দৌলতপুরে ব্যবসায়ীদের হুমকি, মারধর, চাঁদাবাজি করে। দলের কয়েকজন নেতা এদের আশ্রয়-প্রশয় দেয়। এরা এখন জনপ্রতিনিধিদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কোনো ভালো মানুষ সম্মান নিয়ে আ’লীগ করতে পারবে না। জানা গেছে, জনির বাড়ি নগরীর দৌলতপুর থানার দেয়ানায়। খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের গত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করলেও বর্তমান তার কোনো পদ নেই। দলের নাম ব্যবহার করে দৌলতপুরে বিভিন্ন সুবিধা আদায়, মানুষকে হুমকি-ধামকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এ ব্যাপারে শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স বলেন, একটি সালিশকে কেন্দ্র করে এলাকায় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত জনির সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়। এনিয়ে দৌলতপুর থানার ভেতরে শালিশ বৈঠকে আমাদের গালিগালাজ করেছে। এছাড়া দৌলতপুর সেভ এন্ড এফ, বর্তমানে মনা শো-রুমের সামনে জনি ও তার অনুসারীদের অসামাজিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যবসায়ীরা আমার কাছে অভিযোগ করে। বিষয়টি দলের আরেক নেতাকে জানিয়ে জনিকে সতর্ক করার অনুরোধ করি। এটা জানতে পেরে জনি আমাকে ফোন দিয়ে গালিগালাজ করে।’তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেখছি আমি ও আমার পরিবারের নিকটজনদের কাছে সেই ভিডিও পাঠানো হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়ায় আমি পারিবারিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। এরপর বিষয়টি সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেকে লিখিতভাবে জানাই। থানায় সাধারণ ডায়রীও করেছি। সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কাউকে চাঁদাবাজি, পেশীশক্তি প্রদর্শন সহ্য করা হবে না। তিনি এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দৌলতপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে ইসরাফিল জনি বলেন, প্রিন্স আমার নামে নেতাদের কাছে মিথ্যা নালিশ করেছে। তাই তাকে সামান্য বকা দিয়েছি।’ দৌলতপুর থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস মিজানুর রহমান বলেন, কাউন্সিলর প্রিন্স সাধারণ ডায়রী করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। আর দৌলতপুরে কেউ যাতে আড্ডাবাজি বা চাঁদাবাজি করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ মোঃ মিজানুর রহমান। সম্পাদকঃ আবু সালে শিমুল মোবাইলঃ ০১৯৩৯৬৬০৭৮২ প্রকাশকঃ খলিলুর রহমান সুমন। বার্তা সম্পাদকঃ কাজী রায়হান সুলতান। হাউজ নং এন আই -৮০, হাউজিং এস্টেট, রোড নং ২২৮, পৌর সুপার কিচেন মার্কেট, মেইনগেট সংলগ্ন, জিপিও ৯০০০, খালিশপুর, খুলনা।