প্রসাদ খেয়ে অসুস্থদের সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় একটি মন্দিরে প্রসাদের খিচুড়ি খেয়ে বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৭ নারী-পুরুষ।
উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বানিয়ারজাঙ্গাল বাসন্তী মন্দিরের খিচুড়ি খেয়ে লোকজনের মধ্যে এই অসুস্থতা দেখা দেয়। রোববার গভীর রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায় বলে জানান কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর দাশ।
মৃত পাঁচ বছরের শিশু কাব্য দত্ত খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের বাসিন্দা উত্তম দত্তের ছেলে। সে তার মায়ের সঙ্গে বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা নানা অশোক দত্তের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। কাব্যর মা তিথি দত্ত (২৫) চিকিৎসাধীন।
ইউএনও বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, প্রচন্ড গরমের মধ্যে খিচুড়ি খেয়ে লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কাব্য দত্তের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।”
বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার বানিয়ারজাঙ্গাল বাসন্তী মন্দিরের ভক্তরা প্রসাদ হিসেবে খিচুড়ি খান। রোববার থেকে অনেকেই অসুস্থ হতে থাকেন। অনেককে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এর মধ্যেই একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কালিগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে ৩৭ জন। এ ছাড়া উপজেলার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে আছেন- বিষ্ণুপুর গ্রামের অশোক দত্তের মেয়ে ও কাব্যদত্তের মা তিথি দত্ত (২৫), নিমাই সেনের ছেলে দীপু সেন (৪২), চন্ডিচরণ দত্তের ছেলে সুব্রত দত্ত (৪২) ও অসীম দত্ত (৩২)।
বানিয়ারজাঙ্গাল বাসন্তী মন্দির কমিটির সদস্য নিমাই সেন বলেন, “শনিবার মন্দিরে কীর্তন শেষে চার বালতি খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ করা হয়। প্রসাদ খেয়ে কারো কারো ডায়রিয়া হয়েছে।”
কালিগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহিন বলেন, “শিশু কাব্যর মৃত্যু ও অসুস্থতার কারণ তদন্ত ছাড়া বলা কঠিন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মন্দিরে প্রসাদের খিচুড়ি খেয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।”
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বুলবুল কবির বলেন, “বিষয়টি জানার পর বানিয়ারজাঙ্গাল মন্দিরের আশপাশে টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু পানির কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি।”
এই চিকিৎসক বলেন, “খিচুড়িতে কোনো বিষ প্রয়োগের আলামত পাওয়া যায়নি। রান্নার অনেক পর বিতরণ করা হয়েছিল বিধায় খিচুড়িতে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে পাতলা পায়খানা বা বমি হতে পারে। ফুড পয়জনিংও হতে পারে।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেখানে ৩৭ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ মোঃ মিজানুর রহমান। সম্পাদকঃ আবু সালে শিমুল মোবাইলঃ ০১৯৩৯৬৬০৭৮২ প্রকাশকঃ খলিলুর রহমান সুমন। বার্তা সম্পাদকঃ কাজী রায়হান সুলতান। হাউজ নং এন আই -৮০, হাউজিং এস্টেট, রোড নং ২২৮, পৌর সুপার কিচেন মার্কেট, মেইনগেট সংলগ্ন, জিপিও ৯০০০, খালিশপুর, খুলনা।