কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সংসদ মো. হামিদুল হক খন্দকার বলেছেন, বেনজীর আহমেদ ও মতিউর রহমানের মতো দুর্নীতিবাজ আছে, যারা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ পেয়ে সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে পাড় পেয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবেন, আবার দুর্নীতিবাজদের সুবিধা দিবেন, এটা কী সম্ভব?
আজ শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় হামিদুল হক খন্দকার এসব কথা বলেন। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদ সংসদ মো. হামিদুল হক খন্দকার বলেন, অর্থ বিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল। এই বিলটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের প্রতিটি মানুষের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। দুঃখজনক হলো এই বিলটি পাস হয়, তখন জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে না। বিলটি আজ পাস হবে, আর আজই এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আরও আগে আলোচনা হলে জনগণের মতামতের সুযোগ থাকতো।
বিলটিতে অনেক অসামঞ্জস্য রয়েছে জানিয়ে হামিদুল হক খন্দকার বলেন, আমি শুধু একটি বিষয় বলতে চাই, যেটা অনেকেই বলেছে। এটা হল কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা। এটা সরকারের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। একদিকে বলবেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। অপরদিকে দুনীতিবাজদের সুবিধা দিবেন। এটা কী সম্ভব? যারা বৈধ উপায়ে আয় করে কর দিচ্ছে, তারা কর দিচ্ছে ৩০ শতাংশ। অপরদিকে যারা অবৈধ উপায়ে আয় করছে, তাদের করহার হচ্ছে ১৫ শতাংশ। এটা কার স্বার্থে করা হয়েছে। এটা কোন নীতি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেশের ইতিহাসে নতুন না জানিয়ে হামিদুল হক খন্দকার বলেন, এই সুবিধা নিয়ে অতীতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করেছে। এটা জাতির জন্য লজ্জার। এটা কখনই সত্যিকারের প্রত্যাশা পূরণ করে না। বরং এই সুযোগে বেনজীর ও মতিউরের মতো যারা দুর্নীতিবাজ আছে, তারা সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে পাড় পেয়ে যাচ্ছে।
কালো টাকা সাদা করার সুবিধা বন্ধ করা উচিৎ মন্তব্য করে হামিদুল হক খন্দকার বলেন, এটা জাতির জন্য কলঙ্ক। তারপরও যদি সরকার মনে করে, অনৈতিক হলেও অর্থনীতির স্বার্থে এটা করতে হবে। তবে কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে ওসব মালিকদের করহার ৩০ শতাংশ করা হোক। পাশাপাশি সাদা করার সম্পূর্ণ টাকা যেন উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করা হয়। যাতে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।