সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা, এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঘটনায় বিচার প্রার্থনার মাধ্যমেই আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। বর্তমানে সারাদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ঢালিউডের সবচেয়ে আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। এর পরপরই থানায় পরীমনির মামলা নেওয়া হয়, গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচ জনকে।
এর মধ্যেই ঘটনাপ্রবাহে নতুন মাত্রা যুক্ত হয় গুলশান-১ এলাকায় অবস্থিত অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিযোগ আনে। অভিযোগে তারা জানান, পরী মনি মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় অসদাচরণ ও ভাঙচুর করেছেন তাদের ক্লাবে। এ বিষয়ের জের ধরে বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা দাবি জানিয়েছেন যে পরী মনিকে বার ও ক্লাবগুলোতে নিষিদ্ধ করা হোক।
শুধু ক্লাব সদস্যই নয়, ক্লাবগুলোর নিয়মিত অতিথিদের মধ্যে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক, কলাকুশলীরাও এমন দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। বার ও ক্লাবের সদস্যরা পরী মনির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিতে রীতিমতো চাপও প্রয়োগ করছেন।
এ অবস্থায় রাজধানীর সব ক্লাব ও বারে পরী মনিকে নিষিদ্ধের ঘোষণা আসতেও পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ১৬ জুন গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৮ জুন রাতে ক্লাব বন্ধ হওয়ার পরও পরীমনি একজন সঙ্গীসহ জোর করে ক্লাবে ঢুকে বারে চলে যান। সেখানে মদ চেয়ে না পেলে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। ১৫ টি গ্লাস, ৯টি অ্যাশ ট্রে ও বেশ কয়েকটি প্লেট ভাঙেন তিনি। এক পর্যায়ে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডেকে মিথ্যা নালিশ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি বুঝে পরীমনিকেই বকাঝকা করেছে। তবে পুলিশ আমাদের অভিযোগ করতে বললেও আমরা করিনি। আমরা মনে করি, পরী মনি একজন নায়িকা ও সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি নিজের ওজন নিজে রক্ষা করতে না পারলে আমাদের কিছু করার নেই।