জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি আজীবন নিষিদ্ধ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৭ জুলাই) আন্দোলনকারীদের ছয় দফা দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিম্নবর্ণিত ৬টি দাবি প্রশাসনের হস্তগত হয়েছেন। আজীবনের জন্য ক্যাম্পাসে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, ছাত্রীদের হল খোলা রাখতে হবে এবং তাদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যারা কোটা সংস্কারের এই ন্যায্য দাবির সংগ্রামে অংশ নিয়ে আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হবে, কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থী বা কর্মচারী ছাত্রলীগসহ যে কোনো রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, মেসে অবস্থান করা ছাত্র ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মেসে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে এবং বর্তমানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে, এই আন্দোলনে হামলাকারী এবং মেসে হামলাকারীদের প্রশাসনে সোপর্দ করতে হবে এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার আইনি সহায়তা প্রদান করার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশাসন সবগুলো দাবি বিবেচনায় নিয়েছে এবং সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করছে।
এর আগে, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দাবিগুলো লিখিতভাবে জমা নিয়ে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ-সময় দাবি মেনে নেওয়ার মৌখিক ঘোষণা দিলে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনের অবস্থান ছেড়ে দেয়।