শাহবাগ অবরোধ করে সমাবেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সংগ্রহের সময় বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শাহবাগে সময় সংবাদের প্রতিবেদক ত্বোহা খান তামিম ও চিত্র সাংবাদিক প্রিন্স আরেফিনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এ সময় আরেফিনের হাতে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। আবির লিখা কালো জার্সি পরা এক যুবককে সময় সংবাদের প্রতিবেদককে মারধর করতে দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তারা জানায়, কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, যারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) প্ল্যাটফর্মটির সহসমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তি ‘সময় টিভি’-এর সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবসময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমাদের প্রতি গণমাধ্যম কর্মীদের আচরণও ছিল একই রকম সৌহার্দের। এই পারস্পরিক সুসম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা কিছু অতিউৎসাহী অছাত্র-কুছাত্রদের দ্বারা হয়েছে, যা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ কখনোই সমর্থন করে না।
এতে আরও বলা হয়, ৫ জুন থেকে চলমান আন্দোলনে গণমাধ্যম কর্মীরা নিরলস পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের এই অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। সে সঙ্গে আবারও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের আন্দোলনের সঠিক বার্তা বাংলাদেশের জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। গতকালের দুঃখজনক ঘটনাটি আমাদের আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এবং নীতির পরিপন্থি। এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ওই অতিউৎসাহী ব্যক্তিদের উপর বর্তায়, যারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবসময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিজেদের দাবির পক্ষে সোচ্চার থাকবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচারণের মতো কোনো ঘটনাকে আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করি না এবং এর বিরুদ্ধে সবসময় আমাদের সোচ্চার অবস্থান থাকবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা
সংবাদকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব সংবাদ মাধ্যম এবং তাদের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা আমাদের সঙ্গে আগের মতোই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখবেন এবং নিজেদের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে আমাদের আন্দোলনের সঠিক চিত্র তুলে ধরবেন।