বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান আন্ত উপজেলা ও আন্তঃজেলা অনলাইন বদলিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।আন্তঃজেলা বদলি কার্যক্রম শুরুর আগে অধিদপ্তর থেকে একটি পরিপত্র জারি হয় যেখানে আবেদনের যোগ্যতা এবং ইতোমধ্যে ১০% এর অধিক শিক্ষক যেসকল উপজেলায় আছে সেসকল উপজেলা আবেদন বহির্ভূত করে নির্দেশনা প্রদান করেন।অনেক শিক্ষক প্রয়োজন থাকা স্বত্বেও আবেদন করতে পারে না। কিন্তু অভিযোগ আছে গোপনে কিছু শিক্ষক মিথ্যা তথ্য এবং দু্নীতির আশ্রয় নেয়। লেনদেনের মাধ্যমে আবেদন অনুমোদন করিয়ে নেয়।এসকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ২২১নং চিপা বারইখালি সুন্দরবন সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সীমা রায় আন্তঃজেলা বদলিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদরে বদলির আবেদন করেন। অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আফজাল হোসেন হাওলাদার আবেদনটি অনুমোদন করেন।তিনি বলেন তিনি জানেন ঐ উপজেলায় আবেদন করা যাবে না।তারপরও মানবিক কারণে আবেদনটি অনুমোদন করেন এবং তথ্য সঠিক আছে বলে মন্তব্য করেন। আবেদনটি পর্যায় ক্রমে সহকারী প্রাথমিক উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাসেল মোল্লা আবেদনটির তথ্য সঠিক নয় এবং আবেদনকৃত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাটি আবেদন বহির্ভূত বলে মন্তব্য করে অগ্রায়ন করেন।পরবর্তীতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মুস্তাফিজুর রহমান আবেদনটি অনুমোদন করেন। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। পর্যায় ক্রমে আবেদনটি খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক দ্বারা অনুমোদিত হয়। সহকারী শিক্ষক গোষ্ঠীবিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সদর, চুয়াডাঙ্গা মনোনীত হয়। এব্যাপারে বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন আকতার বলেন বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখতে হবে। তথ্য পেলে যাচাই বাছাই করে দেখা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক এব্যাপারে আক্ষেপ করে বলেন টাকা দিলে অবৈধভাবে বদলির সুযোগ পাওয়া যায়। জুনিয়ররা বদলি হতে পারে।সিনিয়রদের আবেদন প্রত্যাখান হয়।টিও মহোদয় টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে সুযোগ দিতে মিথ্যা তথ্য হালনাগাদসহ ইচ্ছে মতো আবেদন প্রত্যাখান করে থাকেন। আরেকজন ভুক্তভোগী বলেন বাড়ি থেকে বিদ্যালয় অনেক দূরে থাকলেও নিয়মের বেড়াজালে বদলি হতে পারি না।কিন্তু সামান্য কিছু টাকা খরচ করে অনেকে বদলি হয়ে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করে বলেন ১৭৯নং খালকুলিয়া পল্লীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেসমিন খানম এবছর মোড়েলগঞ্জ নিশানবাড়িয়ার একটি বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।তার বাবার বাড়ি শরনখোলা উপজেলায়। স্কুলের পাশেই নিজের বাড়ি। কিন্তু তিনি বাসা ভাড়া নিয়ে মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় স্বামীর কর্মস্থলে থাকেন। আবেদনে তিনি টাকার বিনিময়ে মিথ্যা দূরত্ব তথ্য ৩০+ কিলোমিটার দূরত্ব দেখিয়ে অনুমোদন করিয়ে বদলি হয়।যা উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ দূরত্ব অতিক্রম করে।তার বর্তমান ভাড়া বাসা হতে বিদ্যালয়ের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার প্রায় কিন্তু তিনি আবেদনে ৩০+ কিলোমিটার দেখান। যার কারণে অনেকের প্রয়োজন থাকার পরও বদলি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমন শত শত বদলির গল্প আছে মোড়েলগঞ্জ উপজেলায়।
উপদেষ্টা সম্পাদকঃ মোঃ মিজানুর রহমান। সম্পাদকঃ আবু সালে শিমুল মোবাইলঃ ০১৯৩৯৬৬০৭৮২ প্রকাশকঃ খলিলুর রহমান সুমন। বার্তা সম্পাদকঃ কাজী রায়হান সুলতান। হাউজ নং এন আই -৮০, হাউজিং এস্টেট, রোড নং ২২৮, পৌর সুপার কিচেন মার্কেট, মেইনগেট সংলগ্ন, জিপিও ৯০০০, খালিশপুর, খুলনা।