চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। এবার তাদের এ দাবি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
বুধবার (২৬ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ৩০ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তাদের দাবি ভিত্তিহীন, এটা মানার কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রতি বছর কতিপয় শিক্ষার্থী এই ধরনের আন্দোলন করে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় শিক্ষার্থীদের অযথা সময় নষ্ট না করে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া দরকার। এর আগে মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই স্মারকলিপি জমা দেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
অন্যদিকে, সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আর পেছানো হবে না। ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো আগের রুটিন অনুযায়ী যথারীতি হবে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ডসূত্রে জানা যায়, ৩০ জুন সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো যথারীতি হবে বলে তখন জানানো হয়। যেহেতু এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, তাই যথারীতি নির্দিষ্ট তারিখ থেকে পরীক্ষাগুলো হবে।
এর আগে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সিলেট বিভাগেও যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে।
আর স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট বিভাগ ছাড়া মাদরাসা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও অন্য সাধারণ আটটি বোর্ডের পরীক্ষাগুলো প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি ৩০ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আলাদা হয়। তাই সিলেট বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সারা দেশে অভিন্ন হয়।
এ অবস্থায় সিলেট বিভাগের কারিগরি ও মাদরাসার (আলিম) পরীক্ষা স্থগিত করায় এ বিভাগে কোন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা জানতে উদগ্রীব পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।