মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রকিবুল ইসলাম বকুলের সুস্থতা কামনায় দোয়া খালিশপুর মুহসিন কলেজ ছাত্রদলের নবীন বরনের প্রস্তুতি সভা সরকারি হাজি মুহাম্মাদ মুহসিন কলেজ প্রাঙ্গণে ক্লাস ক্যাম্পিং ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ খালিশপুর মুহসিন কলেজ ছাত্রদলের আলোচনা সভা খালিশপুর মুহসিন কলেজ ছাত্রদলের আলোচনা সভা ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম মাহমুদ পটার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী # বিএনপি নেতা খায়রুল ও তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ির দলিল পত্রসহ স্বর্ণালংকার লুট # খুলনা নগরীর খালিশপুরে দুর্বৃত্তরা জসিম নামে এক যুবককে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে যুক্তিতর্ক চলাকালে আদালতে বাদীকে হত্যা হুমকি শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির জরুরী সভা
Headline
Wellcome to our website...
জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের নিচতলায় স্থাপিত মুজিব ও স্বাধীনতা উদ্বোধন করেন তিনি। জাতীয় সংসদ সচিবালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের প্রথম লেভেলে স্থাপিত মুজিব ও স্বাধীনতা পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি মুজিব ও স্বাধীনতা প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইয়ে সই করেন এবং মুজিব ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে মুজিব ও স্বাধীনতা স্থাপনের জন্য স্পিকারসহ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান। এ সময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপবর্গ ইকবালুর রহিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নজরুল ইসলাম বাবু, সাইমুম সরওয়ার কমল, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সানজিদা খানম উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যরা মুজিব ও স্বাধীনতা পরিদর্শন করেন। মুজিব ও স্বাধীনতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস। এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০ এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চের গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে। তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সঙ্গে আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার স্বর্ণালী ইতিহাস। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু খণ্ডচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এরপর বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থান পেয়েছে।
/ ১৮২ Time View
Update : বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪, ১:১৩ অপরাহ্ন

দলের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫০) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মাথায় গুরুতর জখম হয়েছিল বাবুলের। এ জন্য প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। হাসপাতালে আনার পর অস্ত্রোপচার করেই তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানে জখমের স্থানে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। তাই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

এর আগে ২২ জুন বাঘা উপজেলা সদরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতা–কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন।

স্থানীয়রা জানান, জমির দলিল রেজিস্ট্রির সময় দিনের পর দিন বাড়তি টাকা আদায় করে আসছে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ সমর্থন দিয়ে থাকে এই সমিতিকে। আর অন্য একটি অংশ দলিল লেখক সমিতির এই দৌরাত্ম্যের বিপক্ষে। দলিল লেখক সমিতিকে সমর্থন দেওয়া বা না দেওয়ার দ্বন্দ্বেই গত শনিবার (২২ জুন) সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।

১৯ জুন দলিল লেখক সমিতির নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামিউল আলম নয়ন দায়িত্ব নিতে যান। সেদিন সাধারণ দলিল লেখকেরাই অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে পরদিন ২০ জুন দলিল লেখকদের একাংশ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। এই মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু; পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাস আলী এবং পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম। কর্মসূচিতে তাঁরা দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করার দাবি জানান।

পরে ২২ জুন দলিল লেখক সমিতির দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবিতে বাঘা উপজেলার সচেতন নাগরিকের ব্যানারে উপজেলা চেয়ারম্যান লাভলু, পৌর মেয়র আক্কাস আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুলের সমর্থকেরা বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে একই দিন বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধনের ডাক দেয় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে আগের দিনই উত্তেজনা দেখা দেয়। ২২ জুন কর্মসূচির জন্য দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা উপজেলা চত্বরে জড়ো হলে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এঁদের মধ্যে গুরুতর জখম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল চার দিন পর মারা গেলেন। বাবুল পৌর মেয়র আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে আয়োজন করা মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় সেদিন রাতেই থানায় মামলা করেছেন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পিন্টু। এ মামলায় বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীসহ ৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেরাজুল ইসলাম এখন কারাগারে রয়েছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে মেয়র আক্কাস আত্মগোপনে।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখন মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে।’

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page