খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুলনা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির জুলাই মাসের সভা (সোমবার) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান সভায় জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলামকে হত্যার বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। যারা আপরাধ ও সন্ত্রাসী কাজের সাথে যুক্ত তাদেরকে কোনভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা যাবে না। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মাদকের বিস্তার তুলনামূলকভাবে বেশি। মাদক নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ তৎপর আছে। অপরাধীদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের জন্য সহজ হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এ জেড এম তৈমুর রহমান সভায় জানান, খুলনায় নগরপরিবহনের মতো গণপরিবহনসেবা না থাকায় ইজিবাইক-মাহিন্দ্রার মতো অপ্রচলিত যান সেই জায়গা দখল করেছে। নগরীতে অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা বন্ধে মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছে। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে কেএমপি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল সভায় জানান, জুলাই মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে মাছধরা বন্ধ রয়েছে। সে কারণে জেলার ২৩ হাজার আটজন জেলেকে ভিজিএফ এর চাল প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আগামী ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হবে। খুলনার কোন কোন মাছ বাজারে চাষ নিষিদ্ধ বিদেশি মাগুর ও পিরানহা বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের অতিমুনাফা লাভের চেষ্টা জনস্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি ও অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। মাদকের অপব্যবহার তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। মাদক, বাল্যবিয়ে ও যৌতুকের মতো অভিশাপ সমাজ থেকে দূর করতে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সভায় চলমান বর্ষা মৌসুমে খুলনা নগরীর ড্রেনগুলো পরিস্কার রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে বিগত জুন মাসে ১৫০টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মে মাসে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে চারটি বেশি। মহানগরী অধিক্ষেত্রে জুন মাসে ১৮১টি মামলা দায়ের হয়েছে যা বিগত মে মাসের দায়ের হওয়া মামলা থেকে ৩৬টি কম। সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।