প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষককের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন
#অভিযোগকারীদের স্বাক্ষী না দিতে ভয় ভীতি প্রদান
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনা নগরীর উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম (বর্তমানে মহেশ্বরপাশা পল্লীতীর্থ স্কুল)সহ ৬ শিক্ষককের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। ওই তদন্ত কমিটির নিকট অভিযোগকারীরা স্বাক্ষী দিতে না পারে এ জন্য অনিয়মকারীদের ভাড়াটিয়া মাস্তানরা স্বাক্ষীদের নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। একই সাথে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে মর্মে জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন অভিযোগকারী অভিভাবক শুক্লারানী ঘোষ, হিমানী সরকারসহ আরো অনেকে।
অভিযোগকারীরা জানান, খুলনা নগরীর ৪৬নং উদয়ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালিয়ের সহকারি শিক্ষক নুরুনাহার খাতুন, শুক্লারাণী কর্মকার, সুলতানা রাজিয়া, রহিমা খানম ও পলা হালদারের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম, ভূল পাঠদান, স্বেচ্ছাচারিতা, ষড়যন্ত্র ও দলাদলির করার অভিযোগ রয়েছে। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ’২৪ তিনজন অভিভাবকসহ চারজন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর এসব কথা লিখে অভিযোগ দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুল গণিকে আহবায়ক করে গত ৩ জুলাই চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্তকার্যক্রম শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি প্রথমে ১১ জুলাই অভিযোগকারীদের স্বাক্ষী নেয়ার জন্য চিঠি দেয়। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে স্বাক্ষীর নেয়ার তারিখ পেছানো হয়। সে মতে তদন্ত কমিটি আগামী ৩০ জুলাই অত্র স্কুলে স্বাক্ষীদের হাজির থাকার জন্য পুণরায় চিঠি দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির নিকট অভিযোগকারীরা যাতে স্বাক্ষী দিতে না যায় সে জন্য অভিযুক্তদের ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে স্বাক্ষীদের হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এমন কি তারা অভিযোগ স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার করা হলো-এমন বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য ভাড়াটিয়া মাস্তানরা অভিযোগকারীদের বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। এতে করে অভিযোগকারী স্বাক্ষীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে বলে তারা জানান। এমন কি অভিযোগকারী শুক্লা রানী ঘোষের স্বামী বিপ্লব কুমার ঘোষকে দুর্বৃত্তরা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে যার জন্য বিপ্লব তার স্ক্রী শুক্লাকে স্বাক্ষী না দেয়ার জন্য এবং দুর্বৃত্তদের দেয়া কাগজে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। এমন কি শারীরিক নির্যাতন করতেও পিছ পা হচ্ছে না বিপ্লব। এ ব্যাপারে বিপ্লব বলেন, “ঘটনা যতই সত্য হোক না কেন, আমি কোন ঝামেলায় যেতে চাই না। ভাইরা (ভাড়াটিয়া গুন্ডা) যে কাগজ দিয়ে গেছে তাতে শুক্লা সই না করলে আমি তার সাথে ঘর করবো না। প্রয়োজনে তাকে বাবা বাড়ি পাঠিয়ে দেব।” তবে শিক্ষক কর্মকর্তা আঃ গণির মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।