পুলিশ নিহতের ঘটনায় মামলা, আসামি ১২শ’, শেষকৃত্য সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃঃ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এক হাজার ২০০ জনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ২ অগস্ট রাতে লবণচরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।
খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহত পুলিশ সদস্য সুমন কুমার ঘরামীর মরদেহ কেএমপির পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপ¯ি’ত ছিলেন।
পরে কেএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা এবং মরদেহ সৎকারে আরও ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং নগদ দু’ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। সুমনের পরিবারে কেউ শিক্ষিত কেউ থাকলে পুলিশে চাকরির উপযোগী কেউ থাকলে তাকে চাকরির ব্যব¯’া করা হবে। কেএমপি আজীবন পরিবারটির পাশে থাকবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে সুমন কুমার ঘরামী নিহত হন। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।
গার্ড অব অনার শেষে পরিবার মরদেহ নিয়ে কচুয়ায় নিয়ে সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।