# তারাসহ দু’জনের পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর
#পরিবারের দাবী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার
স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগার আলী তারা বিশ্বাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম ওরফে কিলার বাবুরও ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান তামান্নার আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন জানায়। আদালত শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা ৪০ মিনিটে নগরীর রায়ের মহলের মোস্তফার মোড় এলাকায় বিশ্বাস প্রোপার্টিজ থেকে তাকে আটক করা। এরপরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। প্রথমে বটিয়াঘাটা ও পরে দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে তেরখাদা থানায় নেওয়া হয় বলে তার স্বজনদের দাবি।
বিশ্বাস প্রোপার্টিজে তিন ঘণ্টার অভিযানঃ
জেলা আওয়ামীলীগ নেতা তারা বিশ্বাসের আটকের পর ডুমুরিয়া থানা পুলিশ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তারা বিশ্বাসের মালিকানাধীন বিশ্বাস প্রোপার্টিজের রায়েরমহলস্থ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে একটি শটগান, একটি খেলনা পিস্তল, একটি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ৫৭ রাউন্ড কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করেছে। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বক্তব্য সাথে মামলার কোন মিল নেই বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. সুজিত অধিকারী। তিনি জানান, আমরা চাই প্রকৃত অপরাধির বিচারে আওতায় আনা হোক। এসময় তিনি আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক যা গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ নেতা আজগার বিশ্বাস তারার ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার তিনি। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি দাবি করছি। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, বিষয়টি ডিবি তদন্ত করছেন। ঘটনাটি খুবই স্পর্শ কাতর। এ মুহুর্তেই আর কিছু বলা যাচ্ছে না। মঙ্গলবারই তাকে থানা হেফাজতে আনা হয় বলে তিনি জানান। নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় তারা বিশ্বাসকে রিমান্ডে আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রবিউল ইসলাম রবি (৪৬) নিহত হন। ওই দিন তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে মোটরসাইকেলে একা খুলনার বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। রাত পৌঁনে ১০টার দিকে তিনি খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে পেছন দিক থেকে বেশ কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার পিঠে ৫টি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।