রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা
রাবি প্রতিনিধিঃ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলনে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ বিভাগের শিক্ষার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ।
সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি চাই কোটা আন্দোলন সফল হোক। কারণ, আমি যেমন বর্তমানে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, তেমনি অন্যরায় শিক্ষার্থীরাও নিচ্ছে। এখন আমি যদি চাই চাকরিক্ষেত্রে কোটা প্রয়োগ করে তাদের থেকে এগিয়ে যেতে পারবো। আমি চাই না তারা আমার থেকে পিছিয়ে পড়ুক। তাই আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই।’
এর আগে, এদিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও আশপাশের ছাত্রাবাস থেকে এসে প্যারিস রোডে সমবেত হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে অবস্থানের পর বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন রাজশাহী টু ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘১৮র হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মেধাভিত্তিক নিয়োগ চাই, প্রতিবন্ধী ছাড়া কোটা নাই’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কর্মসূচিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আমানুল্লাহ খান চার দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। একটা কমিশন গঠন করে সব চাকরিতে যৌক্তিকভাবে সংস্কার করতে হবে এবং কোটা পাওয়া না গেলে মেধা দ্বারা পরিপূর্ণ করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী তার পুরো জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করবে। এমনকি এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারে। ১০ বছর পরপর যে সমীক্ষা হয় সেই সমীক্ষায় কোটা পুণঃসংস্কার করতে হবে। তাহলে মেধাভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর একটি সমাজ গঠিত হবে।’
মহাসড়কে এদিন বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির পর এক মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট হয়ে ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডে এসে আন্দোলন শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কমপক্ষে দেড় হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।