কলকাতা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতেও উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের এ ত্যাগের উৎসবে শামিল হয়েছে কলকাতাও।
দিনটি উপলক্ষে শহরের পার্ক সার্কাস অঞ্চলের অস্থায়ী ঈদগাহে নামাজ পড়লেন বাংলাদেশি ও পশ্চিমবঙ্গের মুসল্লিরা।
এছাড়া শহরের বিভিন্ন ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলকাতা রেড রোডের পর সব থেকে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল পার্ক সার্কাস ময়দানে। সেখানে দুই বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় এক হলেন ঈদের নামাজে।
নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মূলত, ঈদের ছুটিতে বহু বাংলাদেশি এ মুহূর্তে কলকাতায় অবস্থান করছেন।
তাদেরই একাংশ পার্ক সার্কাস ময়দানে জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঢাকা থেকে এসেছেন সাব্বির আহমেদ। তিনি জানান, আমার ধারণা ছিল না যে ভারতের কলকাতায় এতো সুন্দরভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আজ এ পবিত্র দিনে ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষের জন্য আমাদের তরফ থেকে শুভেচ্ছা রইল। মুসলমানদের জন্য কলকাতাবাসী যথেষ্ট সুন্দর আয়োজন করেছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে ধৈর্য সহকারে এবং সব ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পালন করেছে, তার জন্য সাধুবাদ জানাই। এখানে এসে, দেখে ভালো লাগলো রাজনৈতিক নেতৃত্বরাও শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। আমাদের ভালো লেগেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বারেবারে বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলাদেশকে ভালোবাসি এবং একই সঙ্গে আমরা চাই বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় থাকুক। এখানে ঈদের নামাজ পাঠ করতে পেরে সত্যি ভালো লাগল। মনে হলো না, দেশের বাইরে আছি।
যশোর থেকে এসেছেন মতিউর রহমান। তিনি জানান, কলকাতায় প্রথমবার ঈদের নামাজ পড়লাম পার্ক সার্কাস ময়দানে। সত্যিই খুব ভালো লাগছে। সেই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতের মঙ্গল কামনা করেছি। এ সম্পর্ক যেন এরকমই দৃঢ় থাকে, সেই কামনাই করছি। দুই দেশেই যাতে শান্তি বজায় থাকুক, এ আশায় ব্যক্ত করলাম মহান আল্লাহতালার কাছে।
এ বিষয়ে ওই অঞ্চলের তৃণমূলের টিকিটে জয়ী সংসদ সদস্য মালা রায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে থাকেন। আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে সবাই এক। প্রতিবছর পার্ক সার্কাস ময়দানের ঈদের অনুষ্ঠানে আমার দাওয়াত থাকে। আমি প্রতিবারই আসি। সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করলাম।
এদিন সকালে কলকাতার নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস ময়দানসহ বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও এদিনটি উদযাপন হচ্ছে। এ উপলক্ষে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। নামাজ শেষে সবাই সুষ্ঠুভাবে পশু কোরবানি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কোনো এলাকা থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।