

এক দুর্নীতিবাজ কে বদলী করে আরেক দুর্নীতিবাজকে পদায়ন।
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার দুর্নীতিবাজ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মুস্তাফিজুর রহমান এর বদলি আদেশ হয়েছে। ইতোমধ্যে শেখ মুস্তাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ, শিক্ষকদের টিএডিএ বিল আত্মসাৎ, শিক্ষক বদলিতে অনিয়ম,টাকার বিনিময়ে মিথ্যা তথ্য হালনাগাদ, জিপিএফ এর অর্থ অবৈধভাবে আত্মসাৎ, ক্ষুদ্র মেরামতে কমিশন, স্লিপ বরাদ্দ লোপাট, বিদ্যালয়ে স্লিপ বরাদ্দ না দিয়ে আত্মসাৎ, টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে বদলি করাতে অন্যদের আবেদন রিজেক্ট করা,বদলি বহির্ভূত উপজেলায় টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে অনুমোদন দেওয়াসহ ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দৈনিক পূর্বাঞ্চল,ভোরের দর্পন সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল নিউজ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক নিউজ প্রচারিত হয়।তার অপকর্মের চিত্র তুলে ধরা হয়। মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষক বিভিন্ন দপ্তরে,দুদকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে দুর্নীতিবাজ মোড়েলগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মুস্তাফিজুর রহমান এর শরনখোলা উপজেলায় বদলি হয়। তার বদলিতে মোড়েলগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষকদের মাঝে আনন্দ উৎযাপন দেখা যায়। অপরদিকে তার বর্তমান বদলিকৃত উপজেলা বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সচেতন মহল তাকে শরনখোলা উপজেলায় অফিস করতে দেবে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তারা বলেন এতো দুর্নীতির অভিযোগ যার বিরুদ্ধে তাকে আমরা আমাদের উপজেলায় মেনে নেবো না।তারা অধিদপ্তরের সদয় দৃষ্টি কামনা করে বলেন দুর্নীতিবাজ অফিসারদের বদলি না দিয়ে তাকে বরখাস্ত করা উচিত ছিলো।আমরা তার সকল দুর্নীতি অনিয়ম সম্পর্কে অবগত। তাকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।অপরদিকে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকেরা আনন্দ উৎযাপন এর পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন মোল্লাহাট থেকে বদলি হয়ে আসা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিকদার আতিকুর রহমান জুয়েল এর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। একজন দুর্নীতিবাজ অফিসারকে বদলি করে আরেকজন দুর্নীতিবাজ অফিসার দেওয়ায় তারা ক্ষুদ্ধ।